ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মিরপুর-১ এর অন্তর্গত বিএডিসি স্টাফ কোয়ার্টার এর অভ্যন্তরে ছায়াঘেরা শান্ত, নিরিবিলি, প্রাকৃতিক পরিবেশবেষ্টিত, মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এক একর (১০০ শতাংশ) জায়গার উপর বিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি অবস্থিত। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের শিক্ষার প্রতি অনুরাগের ফসল হিসাবে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিএডিসি এর একটি টিনসেড ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয় (১ম হতে ৫ম শ্রেনি) হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি আত্মপ্রকাশ করে। এ পর্যায়ে ড. মোল্লা আজফারুল হক (সাবেক প্রধান শিক্ষক) এর তত্বাবধানে ছয়জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের বিএডিসি নিয়োগকল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে ৫০০/- টাকা করে সম্মানী ভাতা দেয়া হতো। ১৯৮৫ সাল হতে প্রতি বছর একটি করে শ্রেণী বৃদ্ধির মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটিকে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরের উদ্দেশ্যে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়ের অনুকূলে এক একর (১০০ শতাংশ) জায়গা বরাদ্দ করে। বিদ্যালয়টি 1989 সালে নবম শ্রেণী খোলার অনুমতিপ্রাপ্ত হয় এবং ১৯৯০ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এম পি ও ভূক্ত হয় এবং ১৯৯৬ সালে দিবা ও প্রভাতী (ডাবল শিফট) পর্বে পাঠদানের জন্য চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। বিএডিসি হতে বিভিন্ন সময়ে প্রেষণে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির শিক্ষামান উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত ছিল। বর্তমানে দুটি শিফটে প্লে হতে দশম শ্রেনী পর্যন্ত (নবম ও দশম শ্রেণীতে বিজ্ঞান,ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ) পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
শুরু থেকেই বিদ্যালয়টির পাবলিক পরিক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। শিক্ষাবর্ষের শুরু হতেই পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচী অনুসারে রুটিনমাফিক পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ফ্রি/ফুল ফ্রি/বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশসহ বিএডিসি অনলাইন স্কুল (ফেইসবুক পেইজ) এবং বিএডিসি হাই স্কুল নামে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। খেলাধুলার জন্য রয়েছে একাধিক প্রশস্ত মাঠ। শিক্ষার্থীর শারিরীক ও মানসিক বিকাশে সকল সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম এর নিয়মিত চর্চাসহ থানা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহন নিশ্চিত করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) পরিচালিত হওয়ায় ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে অতীতে ছিল,বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম সচিব/উপসচিব)। বিধায় বিদ্যালয়টির সার্বিক কর্মকান্ড সরকারি নীতিমালা অনুসারে সবসময় গতিশীল থাকে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টির একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) প্রণীত হয়েছে। উক্ত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুসারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হতে শুরু করে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ এসডিজি-৪ বাস্তবায়নে এবং রুপকল্প-২০২১ অনুসারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যালয়টির সক্রিয় অংশগ্রহন থাকবে ইনশাআল্লাহ ।
পরিশেষে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সকল সচেতন মহলকে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানানো হলো।